শাহীন আহমদ :: সিলেট সদর উপজেলা খাদিমনগর উইনয়নের শালেপুর গ্রামে-ওদিল আহমদ কোরবানির বাজার সামনে রেখে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা গরু বা ষাড় কিংডন আর বাদশার’। ষাঁড় দুটি গরুটির গায়ের লাল রংগের আসাধারণ কালার । আদর করে নাম রাখা হয়েছে ‘কিংডন আর বাদশার’। গরুটির বয়স এখন তিন বছর পাচঁ মাস। কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এই দুটিকে। ষাঁড়টিকে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে সিলেট সদর উপজেলা খাদিমনগর উইনয়নের শালেপুর গ্রামে ওদিল আহমদের বাড়িতে।
এবারের কোরবানির ঈদে সিলেট সদরে আকার ও ওজনেই এটি সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে দাবি এলাকাবাসী। সাড়ে চার ফুট উচ্চতার ষাঁড়টির কিংডন এর দাম হাঁকা হয়েছে ৩ লাখ টাকা ও বাদশা দাম হাঁকা হয়েছে ২ লাখ টাকা এই দুটি গরু বা ষাড়ের দাম মোট ৫ লক্ষ টাকা।
আজ ৪ জুন মঙ্গলবার বিকালে শালেপুর গ্রামে ওদিল আহমদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল আশপাশের মানুষ আসছে কিংডন ও বাদশা দেখার জন্য। এদেরই একজন ফাহিম তিনি বলেন, ‘এত বড় গরু আমাদের গ্রামে এই প্রথম। এ কারণে ষাঁড়টি দেখতে এসেছি।’
এ সময় দেখা যায়, খামারির গোয়ালঘরে মোটা দড়িতে বেঁধে রাখা হয়েছে কিংডন আর বাদশার’কে। ওদিল আহমদ বলেন, ‘বেশি কষ্ট হওয়ার কারণে হাটে তোলা কষ্টসাধ্য হওয়ায় খামার থেকেই গরুটি বিক্রির চেষ্টা করছি। কৃষিকাজের পাশাপাশি বাড়িতে খামার করেছি। ৩ বছর ধরে গরু পালন করি।’
ওদিল আহমদ আরও বলেন, ‘পরিবারের সকলের মতোই যত্নে পালন করি এদের। ষাঁড়টিকে তিন বছর ধরে নেপিয়ার ঘাস, খড়, ছোলা, ধানের কুঁড়া ও ভুসি খাওয়ায়ে প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করেছি। কোনো রেডিফিট খাওয়াইনি। মোটাতাজাকরণের কৃত্রিম কোনো পদ্ধতি বা হরমোনাল ইনজেকশন প্রয়োগ করিনি। স্থানীয় ব্যাপারীরা ৪ লাখ টাকা দাম বলে গেছেন। আমি দাম চেয়েছি ৫ লাখ টাকা।’
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন