যুগভেরী রিপোর্ট :: দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট ২১ মে। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ ফারুক আহমদ এবং জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন। গত ৫ বছরে এ দুই প্রার্থীর হলফনামায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। এ সময়ে ফারুকের আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বপনের ব্যাংকঋণ বেড়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ ৫ বছর আগে ব্যবসায়ী ছিলেন। এ বছর হলফনামায় পেশা উল্লেখ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কর্মরত। শেয়ার ও চাকরি থেকে তাঁর বছরে আয় ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নির্ভরশীলদের আয় ২০ লাখ টাকা। ৫ বছর আগে এ আওয়ামী লীগ নেতার বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, নির্ভরশীলদের ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
৫ বছরে ফারুকের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১১ গুণ। বর্তমানে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর ১০ ভরি স্বর্ণ। আগে ছিল ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও স্ত্রীর অলংকারাদি ৭০ হাজার টাকা। তবে এই ৫ বছরে কমেছে স্থাবর সম্পদ। তাঁর বর্তমান স্থাবর সম্পদ ১৯ হাজার ও নির্ভরশীলদের ৩৩ হাজার টাকা, যা আগে ছিল ৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলদের ৩৩ হাজার টাকা।
ফারুকের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বপন চারটি মামলার আসামি। তাঁর বার্ষিক আয় ৫৬ হাজার টাকা বেড়েছে। ব্যবসা থেকে তাঁর বছরে আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলদের আয় ৫০ হাজার টাকা। তিনি ৫ বছর আগে চাকরি থেকে বছরে ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও পরিবারের বাড়ি থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে ১৮ লাখ ও স্ত্রীর ২ লাখ টাকার অলংকারাদি এবং নির্ভরশীলদের ২ লাখ টাকা আছে। স্থাবর সম্পদ ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, যা আগে ছিল ৩৬ লাখ ৭৬ হাজার।
বহিষ্কৃত বিএনপির নেতা স্বপনের ব্যাংকঋণ ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৩ টাকা, যা আগে ছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩৭ টাকা। অর্থাৎ ৫ বছরে তাঁর ব্যাংকঋণ বেড়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার কিছু বেশি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা