নিজস্ব সংবাদদাতা, গোলাপগঞ্জ :: ২০১৮ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণের সূচনা। ২০২২ সালে শুরু হয় প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম। নির্ধারিত সময় পেরিয়েছে আরও আগেই। তবু শেষই হতে চায় না গোলাপগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণ কাজ।
জানা যায়, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি ৪টি ট্রেডে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে এ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। তবে এখন পর্যন্ত সেটির কাজ শেষ হয়নি। এ প্রতিষ্ঠান ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৫১ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমএস ভাওয়াল কনস্ট্রাকশন, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রা. লিমিটেড ও এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর অধীনে ৫৪০ দিনে কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিল প্রতিষ্ঠানটির ভবনের।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এখনও ভবনের অনেক কাজ বাকি রয়েছে, যা চলতি অর্থবছরেও শেষ হওয়ার নয়। শ্রমিকরা জানান, এখনও ফিনিশিং, রং, টাইলস সেটিং ও বৈদ্যুতিক ওয়্যারিংয়ের কাজ বাকি। এক শিক্ষার্থীর বাবা জানান, সিমেন্ট-বালুর মাঝেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে। যেখানে সেখানে নির্মাণসামগ্রী পড়ে আছে। সারাক্ষণ চলছে কাজ। তা ছাড়া খাবার পানি ও শৌচাগারের সমস্যা প্রকট।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সজল কুমার পাল জানান, এখানে শিক্ষকদের ৪৬টি পদের বেশির ভাগই শূন্য। বর্তমানে (দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চালু) প্রতিষ্ঠানটিতে ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক ও জনবল সংকটের কারণে সমস্যা হচ্ছে। নির্মাণ কাজও বাকি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা সমুজ আহমদ জানান, কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেছে। তাদের লোকসান হচ্ছে। তবে আগামী ৬-৭ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা