নিজস্ব সংবাদদাতা, তাহিরপুর
গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে কিছুটা সরে এসে মাচায় তরমুজ চাষের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তাহিরপুরের স্বপ্নবাজ এক চাষি। আর তাতেই বাজিমাত। এখন তাঁর মাচায় ঝুলছে কোটি টাকার বারোমাসি তরমুজ।
তরমুজ চাষে সাফল্যের এমন উদাহরণ তৈরি করেছেন উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন। পেশায় তিনি মূলত বীজ ও সার বিক্রেতা। তরমুজ চাষের জন্য উত্তর বড়দল ইউনিয়নের করপোলার হাওরে পাঁচ কিয়ার (৩০ শতকে এক কিয়ার) জমি ভাড়া নেন মোশারফ। প্রতি কিয়ারে ভাড়া গুনতে হয় দুই হাজার টাকা। গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে জমিগুলোতে কয়েক জাতের তরমুজ বীজ বপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাকবেরি, ব্ল্যাক কিং, হলুদ মধুমালা ও ডোরাকাটা তরমুজ।
তরমুজচাষি মোশারফ জানান, মৌসুমি তরমুজের চেয়ে দেশে বারোমাসি তরমুজের চাহিদা বেশি। ১২-১৪ দিন পর তরমুজ ওঠানো শুরু করবেন। ঢাকা, সিলেট, ভৈরবসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা তরমুজ কেনার জন্য যোগাযোগ করছেন।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (উত্তর বড়দল ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত) সুমন হোসেন জানান, করপোলার হাওরে মাচায় তরমুজের ফলন প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়েছে। এমন ফলন দেখে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেই নিয়মিত দেখভাল করতে আসেন।
উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, বারোমাসি তরমুজ চাষ তাদের এলাকায় এই প্রথম। মোশারফের তরমুজ দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন।
বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী কৃষি বাণিজ্য বিতানের স্বত্বাধিকারী নূর মিয়া জানান, করপোলার হাওরে মাচায় তরমুজ চাষ দেখে এলাকার অনেক চাষি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তিনি ধারণা করছেন, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ভবিষ্যতে অনেক কৃষকই তরমুজ চাষ করবেন বলে তাঁকে জানিয়েছেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা