যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক জনগণের উপর একলাফে ৫শ’গুণ বা তার ও চেয়ে বেশি হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহ কর) বৃদ্ধির নামে অন্যায্য-অযৌক্তিক দায় চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল (১৪ মে) সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা। সিলেট জেলা সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবুল ফজল এর সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট জেলা কমিটির যুগ্ন সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়ার, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ (শান্ত), জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম। বক্তারা বলেন দ্রব্যমূল্যের এই উর্দ্ধগতির বাজারে জনগণের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা তখন নগরবাসীর সাথে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা না করেই সিসিকের এধরনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বসংস্থার নীতি-নির্দেশে গ্যাস-বিদ্যুত-জ্বালানি, কৃষি ও গণপরিবহন রেল থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার করে দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি লাগামহীন উর্দ্ধগতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। মুদ্রাস্ফীতি-মূল্যস্ফীতি তথা সামগ্রিক দিক বিবেচনা করলে এক কঠিন সময় অতিক্রম করে চলছে দেশের জনগণ। বর্তমান বাজারে যখন বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে সেখানে যদি করের বোঝা কয়েকশ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে জনগণের উপর ‘মরার উপর খাড়ার গাঁ’ হয়ে দাঁড়াবে। বক্তারা সিসিকের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে বলেন, অনেক প্রকল্প যা বর্তমানে জনগণের নিতান্ত প্রয়োজনই নেই এই ধরনের অনেক প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ঠ হচ্ছে অন্যদিকে লুটপাটের পথ সুগম হচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্পে সরকার দলীয়, নেতা-কর্মি, আমলারা যেন লুটপাটের এক মহা উৎসবে মিলিত হন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় জাতীয় ও জরুরী সমস্যাগুলোর স্থান পায়না। সমাবেশ থেকে অনতিবিলম্বে নতুন এসেসমেন্ট স্থগিত না করে বাতিলের আহবান জানান।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা