যুগভেরী রিপোর্ট
এবারের সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে কমেছে পাশের হার। তবে জিপিএ-৫ সামান্য বেড়েছে। পাসের হারে দেশের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডটিতে এবার পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গতবার সিলেটের অবস্থান সবার নিচে ছিলো।
এবার পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে গড় পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
রোববার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের ঘোষণা দেন। এরপর বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে ফলাফল দেখতে পারছেন।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এ বছর ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২.৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯.২ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
এদিকে, সিলেটে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৭১ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে তবে গতবছরের চেয়ে জিপিএ-৫ বেড়েছে ১৯টি। গতবছর পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৫২ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড কার্যালয়ে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
পাশের হার কমার জন্য হাওর অঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষকের অভাবকে দায়ী করে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, সিলেট বিভাগের বিশাল এলাকাজুড়ে দুর্গম হাওর এলাকা। এসব এলাকায় ভালো মানের শিক্ষক পাওয়া যায় না। ফলে হাওরাঞ্চলের ফলাফলেও খারাপ হয়। এর প্রভাব পড়ে সার্বিক ফলাফলে।
এছাড়া মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির কারণেও পাশের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী বাড়লে ফলাফলও ভালো হয়। তবে আমাদের বোর্ডে মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থী বেড়েছে। তারা আশানুরূপ ফলাপল করতে পারেনি।
এ বছর ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮০ হাজার ৬ জন উত্তীণ হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৮৮ দশমিক ১৪। আর সবচেয়ে খারাপ করেছে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীর। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৬৮.৫০।
গত বছর ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮৩ হাজার ৩০৬৬ জন উত্তীণ হয়েছিলো। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি : নূরুর রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক : ফাহমীদা রশীদ চৌধুরী, সহকারী সম্পাদক : ফাহমীনা নাহাস
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : অপূর্ব শর্মা