কানাইঘাট প্রতিনিধি : কানাইঘাটে মসজিদের সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে আপন ভাই ও ভাতিজাদের হামলায় নিহত সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন হত্যাকান্ডের ঘটনায় কানাইঘাট থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার মামলা নং- ১৫, তাং- ২৩/০৪/২০২৪ইং। নিহতের ছেলে উপজেলার বড়চতুল ইউপির হারাতৈল মাঝবড়াই গ্রামের কামরুজ্জামান মুসা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এফআইআর ভুক্ত আসামী নিহতের বড় ভাই সমছুল হক, ভাতিজা সুহেল আহমদ ও কামাল আহমদকে হত্যাকান্ডের পর সিলেট শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার নিহত সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনের লাশ তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসার পর বাদ আসর তার জানাজার নামাজ হারাতৈল মাঝবড়াই জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার লাশ গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে দাফন করা হয়।
প্রসজ্ঞত যে, গত সোমবার মসজিদের সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন বড় ভাই সমছুল হক ও ভাতিজা আলমাছ, সুহেল, কামাল, রুহুল সহ আরো কয়েকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জয়নাল আবেদীনকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আপন বড় ভাই ওমান প্রবাসী আব্দুল্লাহ (৫৭) ও অপর ভাই দুবাই প্রবাসী ছয়ফুল্লাহ (৬০) সহ আরো ২ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে জয়নাল আবেদীনের মৃত্যু হয়। আশংকাজনক অবস্থায় তার অপর দুই ভাই আব্দুল্লাহ ও ছয়ফুল্লাহ সিওমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন