এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জমজমাট মাছ মাংসের বাজার, বিক্রি হচ্ছে সব্জির বাজারে বেশী

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১২ মার্চ, মঙ্গলবার, ২০২৪ ২৩:৩২:১৭
জমজমাট মাছ মাংসের বাজার, বিক্রি হচ্ছে সব্জির বাজারে বেশী

 যুগভেরী ডেস্ক ::::: রাত পোহালেই রমজান এই রমজান মাসকে সামনে রেখে জমজমাট বেচাকেনা চলছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে। বেশি বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস। ভিড় আছে সবজির দোকানেও। দরদাম নিয়ে বাকবিতণ্ডা চললেও তুলনামূলক স্বস্তি ছাপ দেখা গেছে ক্রেতাদের চোখে মুখে।

সোমবার (১১ মার্চ) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে এমন চিত্র।

মোহাম্মদ গঞ্জ বাজারে দেশি গরুর মাংস প্রতি এক কেজি তিনশত গ্রাম হাড় মাংস ১০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে সবচেয়ে দাম বড় রউ, তেলাপিয়া, বিভিন্ন জাতের দেশী মাছের। এক কেজি এমন জীবন্ত গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা। রুপচাঁদা বড় ৮০০ টাকা, ছোট ৪০০ টাকা, আমদানি করা বড় রুই ৩০০ টাকা, দেশি রুই ৩৫০ টাকা, দেশি বড় কাতলা ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কামারখাল থেকে বাজার করতে আসা কয়েকজন সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি শুক্রবার সপ্তাহের সব বাজার করে ফেলি। এ সপ্তাহের বিশেষত্ব হচ্ছে রমজান শুরু হচ্ছে। তাই মাছ-মাংসসহ ছোলা, চিনি, খেসারি ডাল, তেল, পেঁয়াজ ইত্যাদি আনুষাঙ্গিক পণ্যসামগ্রী কিনে নিচ্ছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রোজার বাজারে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির কারনে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। তবে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সবজির দোকানে প্রচুর সরবরাহ থাকলেও দাম প্রায় অস্বাভাবিক রয়েছে। বয়লার মুরগি, চাল, ডাল, চিনি, ডিম, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান দোকানিরা।মোহাম্মদ গঞ্জ বাজার মুদি দোকানগুলোতে আমদানি করা নতুন বাদামি রঙের ছোলা ১২০ টাকা, চিনি ১৪৫ টাকা, পেঁয়াজ ১২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ছোলা-চিনি কিনতে আসা গৃহিণী আকলিমা আকতার বলেন, অন্যান্য বছর দেখা যেত শবে বরাতের পরদিন থেকে মানুষ পরিবারের জন্য রমজান মাসের প্রয়োজনীয় ছোলা একসঙ্গে কিনে নিতেন। এবার তেমনটি হয়নি। সবাই যখন একসঙ্গে ছোলা কেনেন তখন মুদির দোকানের চাপ গিয়ে পড়ে পাইকারি বাজারে। বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে দাম বাড়িয়ে দিতেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন