এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

হকারমুক্ত হচ্ছে সিলেট নগরী : রবিবার পুনবার্সন কাজের উদ্বোধন

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ০৯ মার্চ, শনিবার, ২০২৪ ১৯:৪৬:১৪
হকারমুক্ত হচ্ছে সিলেট নগরী : রবিবার পুনবার্সন কাজের উদ্বোধন

যুগভেরী ডেস্ক ::: সিলেট নগরবাসীর বহুল প্রতিক্ষিত ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের (হকার) অস্থায়ী মার্কেটে পুনবার্সন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামীকাল রবিবার (১০ মার্চ)। এদিন সকাল ১০ টায় এ পুনর্বাসন কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এসময় উপস্থিত থাকবেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপি।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর। তিনি জানান, আসন্ন পবিত্র রমজানের পূর্বেই সিলেট নগরীর ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের (হকার) অস্থায়ী মার্কেটে পুনবার্সন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সে লক্ষ্যে দ্রুত অস্থায়ী মার্কেট প্রস্তুত করার জন্য ১০টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ বণ্ঠন করে দেয়া হয়। কাজ শেষে রবিবার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে নগরীতে ছড়িয়ে—ছিটিয়ে থাকা সকল ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত স্থানে পুনর্বাসন করা হবে।

সিসিক সুত্রে জানা যায়, নগর জুড়ে ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহন করেছেন। তার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মহানগর পুলিশ কমিশনার, হকারদের প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে কয়েক দফায় তিনি আলোচনা করে করেছেন। সকলের পরামর্শে হকার সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের দিকেই এগুচ্ছেন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

নগরভবন লাগোয়া লালদিঘির পাড়ের মাঠে অস্থায়ী মার্কেটে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ফলে কিছুদিনের মধ্যে হকার সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছে সিসিক সূত্র।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে লালদিঘীর পাড়ে সিসিকের মালিকানাধীন জরাজীর্ণ মার্কেট ভেঙে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার ৭০ জন হকারকে পুনর্বাসন করা হয় সেখানে। প্রত্যেক হকারের জন্য ৭ ফুট/৩ ফুট জায়গা বরাদ্ধ দেয়া হয়। সিসিকের পক্ষ থেকে নির্ধারিত স্থানে সবার জন্য বাঁশ ও টিন দিয়ে অস্থায়ী মার্কেটও নির্মাণ করে দেয়া হয়। ক্রেতাদের সুবিধার্থে মাঠে মাছ ও শুঁটকি, সবজি, তৈজসপত্র এবং বিবিধ নামে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে পৃথক লেন করে দেয়া হয়েছে সেখানে। এছাড়া নগরের প্রতিটি ফুটপাতে ‘মানুষের চলাচলের জন্য, হকারদের বসা নিষেধ’ লেখা সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।

এই দুর্ভোগ লাঘবে ২০২১ সালে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ওই বছরের জানুয়ারিতে নগরভবন—লাগোয়া লালদিঘীর পাড়ের খোলা মাঠে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী মার্কেট নির্মাণ করে দেয় সিসিক। প্রাথমিক অবস্থায় নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ হাজার ৭০ জন ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা হয় ওই মার্কেটে। তবে ভেস্তে যায় পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ। সিসিক নির্মিত অস্থায়ী মার্কেটে আর বসেন না হকাররা। উল্টো নগরের ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কেরও বহুলাংশও দখল করে রেখেছেন তারা। ফলে দিনভর নগরে লেগে থাকে যানজট।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন