এশিয়ার প্রাচীনতম বাংলা সংবাদপত্র প্রথম প্রকাশ ১৯৩০

প্রিন্ট রেজি নং- চ ৩২

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

……………………………

পাবনায় কানাডার ৩০০ জাতের ডালের গবেষণা, পরিদর্শনে হাইকমিশনার

Daily Jugabheri
প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার, ২০২৪

যুগভেরী ডেস্ক :::  কানাডা থেকে প্রায় ৩০০ জাতের ডাল এনে গবেষণা চালানো হচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ডাল গবেষণা কেন্দ্রে।

বাংলাদেশে কানাডা সরকারের সহযোগিতায় ডালের ওপর গবেষণা কার্যক্রম এবং বিভিন্ন ডাল গবেষণার মাঠ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলাস।

এসময় তার সঙ্গে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তারা।

কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি প্রতিষ্ঠানটিতে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান ও গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তরা। পরে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের হলরুমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে গবেষণা কার্যক্রমের ওপর বক্তব্য দেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলাস, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কৃষি বিজ্ঞানী ডালের প্রজননবিদ ড. আশুতোষ সরকার, বাংলাদশে কৃষি গবষেণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারসহ অনেকে।

সেখানে গবেষণা কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন তুলে ধরেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহিনুজ্জামান।

ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পরিদর্শনকালে পরিদর্শন টিমের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক সরকার শফিউদ্দিন আহম্মেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহিনুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কানাডিয়ান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের ডাল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। কানাডা থেকে আমরা ৩০০ জাতের ডাল এনে এখানে গবেষণা করছি। দেশের তিনটি স্থানে এ গবেষণা কার্যক্রম চলছে। গবেষণা দেখতেই কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলাস এখানে এসেছেন। আমাদের দেশের ডালের জাতগুলোতে আবহওয়ার কারণে রোগ-বালাই ধরে যায়। এ গবেষণার মাধ্যমে উৎপাদিত ডাল একই সঙ্গে হবে উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন।

গবেষণার মাঠ পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের সঙ্গে ডাল নিয়ে চলা গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলাস।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন