
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সিলেট নগরের বন্দরবাজারে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার (১১ এপ্রিল) বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সাজেদুল করিম সরকার বাদি হয়ে সিলেট কতোয়ালি থানায় এর মামলাটি দায়ের করেন। এরআগে রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বন্দরবাজারে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বেক্ষোভ বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হন। মামলার আসামিরা হলেন- মো. ফোরকান আহম্মদ, মো. আনোয়ার হোসাইন, আরিফুল হক, নাইম সিদ্দিকী, মদিনাতুল মনোয়ার, হাবিবুর রহমান, মো. আবদুল্লাহ, মো. হোসেন আহম্মদ, সিদ্দিক আহমদ, হাফিজ আবদুল আজিজ, নাসিম আহমদ, মো. হাবিব চৌধুরী, হাফিজ বদরুল ইসলাম, খালেদ আহমদ ও মারুফ আহমেদ। আসামিরা সকলে বিএনপি ও তার ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল এবং জামায়াত ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়- রোববার দুপুরে শতাধিক বিএনপি ও শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সুরমা মার্কেট থেকে বন্দরবাজার পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেয়। তারা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে তাদের শান্ত করার চেষ্টা্ করলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে মামলার বাদি এসআই মো. সাজেদুল করিম সরকার, এসআই নিশু লাল দে, এএসআই জাফর আলী, কনস্টেবল বিজয় দেব ও ইসমাইল আহত হন। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে মো. ফোরকান আহম্মদ, নাইম সিদ্দিকী, মদিনাতুল মনোয়ার, হাবিবুর রহমান, মো. আবদুল্লাহ ও মো. হাসান আহম্মদকে আটক করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে লোহাড় রড, কিরিচ, বাঁশের লাঠিসহ বিভিন্নপ্রকারের দেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়। মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, আটককৃতদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্ট চলছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য জড়ো হয়। এসময় আওয়ামী লীগের একটি মিছিল ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে এগিয়ে গেলে পুলিশের উপর হামলা করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেণেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন